ভার্সিটি ভয়েস ডেস্ক 02 Jan, 20
আগন্তুক প্রথমে ফিঙ্গার রাখবে মডিউলের উপরে। মডিউল ফিঙ্গার থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল নিয়ে পাঠাবে আরডুইনুতে। আরডুইনু চেক করবে এটা ভ্যালিড কিনা। যদি ভ্যালিড হয় তাহলে সে সিগন্যালটা সার্বো মোটরে পাঠাবে। সার্বো মোটর ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালকে মেকানিক্যাল এনার্জিতে কনভার্ট করে একটা নির্দিষ্ট পরিমান ঘুরাবে। দরজাটা মোটরের সঙ্গে লাগানো থাকায় দরজাটা খুলে যাবে। তারপর একটা নির্দিষ্ট সময় পার হলে দরজা আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে। অর্থাৎ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।
ফিঙ্গার প্রিন্ট ভিত্তিক এধরণের একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শান্ত, ইকবাল হাসান মামুন, মুমিনুল ইসলাম আকিব ও মীর সাব্বির।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান শান্ত বলেন, সত্যি কথা বলতে আমাদের দেশে এই ফিঙ্গার প্রিন্ট বেইস ডোর লক সিস্টেমের ব্যাপারে খুব কম মানুষ অবগত। প্রথমত সবার কাছে এই সিস্টেস সম্পর্কে এবং এর কার্যকারিতা ব্যাপারে অবগত করতে হবে। আর কিভাবে কম খরচে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
ইকবাল হাসান মামুন বলেন, এটা গতানুগতিক লক সিস্টেম থেকে খুবই ভালো কার্যকরী। সম্পূর্ণ সিকিউরিটি ব্যবস্থা নিশ্চিত রয়েছে এ ব্যবস্থায়। এছাড়া এটা সহজেই ব্যবহার উপযোগী। গভমেন্ট চাইলে সচিবালয়ে, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যবহার করতে করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিভাগটির প্রভাষক ও প্রজেক্টির মেন্টর মাহমুদ আর রশিদ বলেন, আমার আওত্বাধীনে এ প্রজেক্টটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি অনেক বেশি নিরাপত্তাসম্পন্ন। প্রজেক্টি বাস্তবে রূপ দিতে পারলে রেস্টুরেন্ট, ব্যাংক, শিল্প-কারখানা ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
এ বিষয়ে শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের এ উদ্ভাবন বেশি গর্বের। তাদের এ উদ্ভাবন দেশের কল্যাণে ব্যবহার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক